Wednesday, December 30, 2009

আহ্বান (AAOHAN)

'অসেচনক'-এর কথা আগেই বলেছি। "নয়ালাপ"-ও ঠিক সেরকমই একটা দেওয়াল-পত্রিকা। আমাদের এলাকায় প্রকাশিত হত। যদিও এখন আর এর কোন অস্তিত্ব নেই। সালটা ছিল ১৯৯৩। নয়ালাপ-এর দেওয়ালী সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল এই কবিতাটা। 'কালীপূজো 'র উৎসবে তখন মাতোয়ারা চারদিক।

           ।।  আহ্বান  ।।


হে মা উগ্রচণ্ডা ! আবির্ভূত হও,
সম্মুখে প্রশস্ত রণক্ষেত্র, শঙ্খধ্বনি।
চতুর্দিকের আলোকসজ্জায় তোমার পথ আজ আলোকিত 
অমর্ত্যলোকবাসের এ উপযুক্ত সময় নয়,
শেষ হোক্ সবার প্রতীক্ষা !


প্রতীক্ষা সবার, সব মর্ত্যবাসীর,
আজকের যুগ হারুণ-অল-রশিদের নয়
এ যুগের 'রশিদ' ভিন্ন প্রেক্ষাপটে !
'ইব্রাহিমে'র দল আজ অলিতে-গলিতে,
খবরে শোনাচ্ছে সব অদ্ভুত বেলেল্লাপনার কাহিনী !


আমরা কি 'লজ্জা' আটকে লজ্জা ঠেকাব ?
সে তো অসম্ভবের বালিতে হর্ম্য গড়ে তোলা !
এ ঘোর কালিমালিপ্ত আঁধার ঠেকাতে
তাই তো আজ দিকে দিকে এত আলোকসজ্জা !
তোমার আলোর-আঁধারে মুছে যাক্  আজ সব লজ্জা।


হে শবশিবারূঢ়া ! তোমার ত্রিনেত্রে প্রজ্বলিত হোক্ অগ্নি,
পদতলে নিষ্পেষিত হোক্ ছদ্মবেশী সব ভণ্ডেরা,
চরাচরে নামুক প্রগাঢ় শান্তি।
হে বরাভয়ি ! তোমার বরাভয় হস্ত সঞ্চালনে - 
আমাদের করো নিঃশঙ্ক ।।
   _____________

Tuesday, December 29, 2009

দুটি কবিতা (DUTI KOBITA)

আজ আর এখানে কোন কবিতা দিলাম না। পরিবর্তে আমার অন্যত্র প্রকাশিত দুটি কবিতার লিঙ্ক দিলাম।
কবিতা দুটির একটি হল কবিতা এবং অপরটি হল প্রেমিকা। কবিতা দুটিই প্রকাশ পেয়েছে কফিহাউসের আড্ডায়
কবিতা ইতিপূর্বে মালঞ্চতে (১৯৯৭-এর শারদীয়া সংখ্যা) প্রকাশিত হয়েছিল। আর প্রেমিকা প্রকাশ পেয়েছিল পিয়াসে (১৯৯৭-এ)। মালঞ্চ আর পিয়াসের কথা আগেই বলেছি।

Sunday, December 27, 2009

জীবন (JIBON)

"

একটা নদীর মত জীবন বয় বাঁকে বাঁকে
সেই উৎস থেকে সুদূর মোহনার দিকে ...
বিচিত্র এক পথ পরিক্রমা আপন মনে
কত কী পড়ে থাকে পিছনে !
পাহাড় - মালভূমি , শহর - নগর
কত ঘন অরণ্য - নিস্তব্ধ প্রান্তর
কোলাহল মুখর কত বন্দর , বাজার - হাট
লোকারণ্য স্নান ঘাট ।
প্রকৃতিপ্রেমী , দর্শনার্থী
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি ,কত পুণ্যপ্রার্থী !
সব শুধু দু'দণ্ডের আলাপ - পরিচয়,
তারপর সব ছাপিয়ে যায়
শুধু কুলুকুলু ধ্বনি , চকিত চপল অঙ্গে
নদী চলে , নিজ তালে উত্তাল তরঙ্গে ।
একসময় আসে সেই অনিবার্য মোহনা
শষ হয় ক্লান্ত পদচারণা ,
অকুল সমুদ্রে নদী লীন হয়ে যায়
যেমন , মৃত্যু - পারাবারে মানব - জীবন লুকায় ।
       __________________    "


মালঞ্চ : পৌষ সংখ্যা , ১৯৯৬।

Friday, December 25, 2009

প্রতিবেশী (PROTIBESHI)


ভাল প্রতিবেশী কে?
সেই 'গুড সামারিটান'-এর
গল্পটা সবার জানা!
একজন ভাল প্রতিবেশী -
একজন ঈশ্বরের দূত!

ঈশ্বর তাঁর শেষ রক্তবিন্দুও
দান করেছেন সবার মুক্তির জন্য।
কিছু ভাল কাজ কি বয়ে আনবেনা
সেই রক্তবিন্দুর প্রতি কিছু সাফল্য,
আর মাতা মেরীর চোখে আনন্দাশ্রু?

________________ ”

শুভ বড়দিন (MERRY CHRISTMAS DAY)







শুভ বড়দিন

Wednesday, December 23, 2009

একান্ত আপন (EKANTO AAPON)

"
উন্মুক্ত বাতাসের পরশে
ভেসে ওঠে বহু স্মৃতি ......

ঊজ্জ্বল শৈশবের ; কল্পলোকের
সেই সমুদ্র , সেই পাহাড় !
ঔদার্য্যের রাজপ্রাসাদ !
আমার মনের অন্দরের খবর ,
যা কিছু ছিল সব একান্ত আমার
আছাদিত মনের অস্পষ্টতায় ।
আজ একান্ত নগ্ন চোখে
আর এক বিধ্বস্ত মরুভূমি চোখে পড়ে ,
আমার ভালবাসার পৃথিবীটার নগ্নরূপ ।
তবু আমার সত্তার গভীরের প্রাণ
প্রতিবাদ করতে গেলো -
কিন্তু রূঢ় বাস্তব তাকে থামিয়ে দিলো ।
আমার মনের ছবি একান্তই আমার 
রয়ে গেলো !
________________  "


রূপসী - দেওয়ালী সংখ্যা , ১৯৯০

Monday, December 21, 2009

নবীন - ২ (NOBIN - 2)

"
উন্মত্ত জোয়ার ছুটে আসে গ্রাসিতে অন্যায়
অবিচার, অত্যাচার ডুবে যাক্ বন্যায় ,
ডুবে যাক্ সেই সাথে ভীরুতা আর গ্লানি।
ভেঙে করো ধূলিস্যাৎ কঠিন কুঠার হানি -
অত্যাচারীর বিলাস সৌধ নিঠুর প্রাণে ,
ধ্বংস করি' জেগে ওঠো নব জয়গানে।


যৌবনের ঊছ্বসিত রক্তধারায়
নব মুকুলিত হও উনামদনায় ,
পিছে পড়ে থাকে যে তারে ধিক্ শত ধিক্
নবীনের জয়গানে মুখরিত হোক্ দিক ।।
 __________  "


রূপসী - শারদীয়া সংখ্যা , ১৯৯১

Thursday, December 17, 2009

আগমন (AAGOMON)

"
ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকে উত্তপ্ত বাসনা
চেয়ে থাকে আকাশের দিকে।
কন্যাকুমারিকা থেকে 
কাঞ্চনজঙ্ঘার ধবল সৌরভে -
ভেসে চলে সেই বাসনা,  
খুঁজে ফিরে আমার ডিজনিল্যাণ্ড
আর স্বপ্নের প্যাগোডাকে।


হেরে গেছি আমি সময়ের 
স্বপ্নবাণী নিয়ে।
আর আজ এসেছি আমি
সবুজের শ্যামলিমায় বিজয়পতাকা উড়িয়ে
মোর মা'র বুকে - সব পথের শেষে ।
 ___________________  "


মালঞ্চ - শারদীয়া সংখ্যা , ১৯৯১

Monday, December 14, 2009

তবুও নতুন (TOBUO NOTUN)

"
এই পৃথিবীটা খুব পুরানো।
আর যে সূর্যটা রোজ
রাঙা - রোদে ভরিয়ে দেয়
আমাদের মাঠ - ঘাট - প্রান্তর ,
সেটা আরও পুরানো ।


তবু এই পুরানো মাটিতে
নতুন ফসলের ঘ্রাণ, কিংবা
ফোটা ফুলের নরম শরীরে
ঝড়ে পড়া শিশির কণা -
আমার এ চোখে নতুন লাগে !


বেশ কিছু পুরানো হয়ে গিয়েও
তবু নতুন হবার বাসনায় ,
ঋতু সমারোহে নিত্য নতুন বেশে
সেজে ওঠা এ পৃথিবী
এ চোখে সবই নতুন লাগে !


 _______________  "

১৯৯৬ -এ মালঞ্চ-র 'রবীন্দ্র সংখ্যা'য় এটা প্রকাশিত হয়েছিল।

Saturday, December 12, 2009

সুবর্ণ গোলাপ (SUBORNO GOLAP)

"
ওহে ! সুবর্ণ গোলাপ - 
আমি তোমার প্রেমে পড়েছি ।
তোমার ওই ঊজ্জ্বল দ্যুতিময়
গোলাপী পাপড়িগুলো,
আমাকে আকৃষ্ট করে ।
আমি ধেয়ে যাই তোমার কাছে
মৌ-লোভী পতঙ্গের মত !
তোমার পাপড়ি-সম মুখের দিকে তাকাই ।
ওই গোলাপী আভা কি তোমার -
অন্যকে বশ করার অস্ত্র ?
না কি তুমি লজ্জা পেয়েছ !
তবু আমি তোমার অধর চুমি'।
আমি নিংড়ে নিতে চাই তোমার
শেষ সৌরভটুকু !
তারপরে তুমি নিঃস্ব ,
ঝড়ে যাবে তুমি পড়ন্ত বেলায় ।
কিন্তু, তখনো তুমি আমার
আমার ভালবাসা ...!

__________ "

Wednesday, December 09, 2009

দৃশ্য (DRISHYA)

ই কবিতাটা ১৯৯০-এ 'রূপসী'-তে বাণী সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।

  ।।  দৃশ্য  ।।

অস্তরবির শান্ত ছবি - আমি ক্লান্ত, পান্থ কবি
পায়ে চলার পথে - নয়ন ভরে দেখি।
নয়ন আমার দিশেহারা - হৃদয় মাঝে জাগছে সাড়া
কারে দেখায় - কোথায় লিখে রাখি।।
গাঁয়ের মাঠে, পথে-ঘাটে,     গাছের ফাঁকে, নদীতটে
                দেখছি যত দৃশ্য।
দুচোখ ভরি' দেখি বারবার     জানি থাকবেনা আর
                 সব হবে অদৃশ্য।।

       __________________

Monday, December 07, 2009

নবীন (NOBIN)

"
এসো নবপ্রাণ, এসো নবপ্রেরণা
এসো নবধ্যান, এসো নবধারণা
সত্যের মন্ত্রে, নবপ্রাণে দীক্ষিত হয়ে
যেথা মৃত্যু-শীতল স্রোত চলেছে বয়ে
সেথা চলো, হে নবীন! মুক্ত করো দ্বার
ঘুচিয়ে দাও আর্তজীবের হাহাকার!
ঘুচিয়ে দাও অলস দেহে জীর্ণতা ও জরা
নবীনতার প্রাণ-পরশে, মুক্ত হোক্ ধরা ।।
 __________________   "

এই কবিতাটা ১৯৮৯ -এ 'রূপসী'-তে বর্ষা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। 'রূপসী' নদীয়া জেলা থেকে প্রকাশিত।

Saturday, December 05, 2009

হারিয়ে না যায় (HARIYE NAA JAY)

"
পৃথিবীর চারিদিকে কবিতা ছড়ানো রয়েছে অনেক
সবাই তাকে খুঁজে পায় না,
আবার কেউ কেউ পায়।
এখানে বেজে চলেছে কত সুমধুর তান
অনেকে ভাবে তাকে - অযথা শব্দ,
আর কেউ কেউ ভাবে গান।


আমি যখন অন্ধকারে ঘুম থেকে 
জেগে উঠি - 
রাতের আঁধার যবে নিভছে ধীরে ধীরে।
দেখি, পৃথিবীটার সারা গায়ে
কবিতা আর গান ধূলো মাটি করে - 
মাখামাখি হয়ে আছে,
আর সূর্য্যের সোনারোদে সেগুলো
কেবলই চিক্ চিক্ করছে।
কেউ কেউ ওগুলোকে  
মূল্যবান সামগ্রী ভাবে - সিন্দুকে তুলে রাখে !
আমি, আর কেউ কেউ সারা গায়ে 
মেখে নিই ওদের,
যেন ওরা হারিয়ে না যায় ...!
    ________________  "

এই কবিতাটা মালঞ্চ - শারদীয়া সংখ্যা, ১৯৯৩-এ প্রকাশিত হয়েছিল।

Thursday, December 03, 2009

আগুনের ছড়া (AGUNER CHHARA)

 ১৯৯৮। বৈশাখ সংখ্যায় 'মালঞ্চ'তে প্রকাশিত হয়েছিল এই কবিতাটা।

     ।।  আগুনের ছড়া  ।।


আগুন, আগুন, আগুন রে ভাই
          আগুন চারিদিকে।
স্থলে আগুন, জলেও আগুন
          আগুন আকাশ ব্যেপে।।
বাসে আগুন, ট্রামে আগুন
          জ্বলছে আগুন ট্রেনে।
জ্বলছে ক্রোধ লোকের চোখে
          আগুন বাণ হেনে।।
চারিদিকে আগুন শুধু
          দেখ আগুন তেলে।
সব কিছুরই মূল্য যেন
          ছুটছে আগুন জ্বেলে।।
তাও যদি হয় দামে আগুন
          আগুন দেখ লাইনে।
তাইতো রাগে পড়ছি ফেটে
          আগুন মোদের গানে।।
সব কিছুতে আগুন কেমন
          পাল্লা দিয়ে ছোটে।
সত্য কথাই বলি এটা
          নয়কো মিথ্যা মোটে।।
     _________________


 

Tuesday, December 01, 2009

কখনো ঝড় আসে (KAKHONO JHAR AASE)

কখনো ঝড় আসে

খনো ঝড় আসে মূক করে সব ভাষা
আদি-ভাষা ইশারা, অঙ্গবিকৃতি।
অক্ষর লেপটে যায় ছায়ার শরীরে,
নিশীথ অন্ধকারে ভাসা এক পুরানো মুখ
হিমেল হাওয়ায় বয়ে যায় !
ছায়ার কি ঘ্রাণ আছে কোন?
ছায়ার ঘ্রাণ নেই।
তবু নাসারন্ধ্র ফুলে ওঠে
এক পুরানো চেনা ঘ্রাণে !


কখনো ঝড় আসে স্মৃতির জঙ্গলে,
সজোর ঝাপটায় কখনো উড়ে আসে
কয়েকটা ঝড়া পালক।
এতো শুধু চেনা ঘ্রাণ নয়
চেনা শরীরে চেনা মুখ,
যার ব্যর্থ প্রতিশ্রুতিতে এখনও 
ক্ষতবিক্ষত রয়েছে বুক !
  __________


এই কবিতাটা ১৯৯৫ -এর শারদীয়া মালঞ্চ - তে প্রকাশিত হয়েছিল।

Sunday, November 29, 2009

বনলতা সেন (BANOLATA SEN)

ই কবিতাটা প্রকাশিত হয়েছিল মালঞ্চ-তে, ১৯৯৫-এর বৈশাখ সংখ্যায়।


 ।। বনলতা সেন ।।

আজ চেয়ে দ্যাখে চোখ
তপ্ত বারুদ জ্বালে আগুন।
আগমনী স্বাদ চাখে নতুন বছর
শীতের ধোঁয়াশায় বিলীন প্রেম,
এ প্রেম-ভাষা বলে নতুন কথা
ফিরে ঘিরে ধরে হতাশার ভাষা !


আজ ফিরুক জীবনানন্দ
তাঁর প্রেমাতুর চোখে
রূপসার ঘোলা জল খুঁজে ফিরে
কিশোর কিশোরীর ধূলা ওড়া পথে।


আজ অর্ধশতাব্দী পরে
চেয়ে দ্যাখে চোখ - মনে মনে ভাবে
বুঝিবা রচিত হয় যেন
এক নব - 'বনলতা সেন'!
  ____________

Tuesday, November 24, 2009

আমি আর কবিতা (AMI AAR KOBITA)

 
"

কবিতা আমাকে টেনে নিয়ে গেছে গহন-গভীরে

গোলকধাঁধা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারিনি,

জ্বরের ঘোরের বিষন্ন পাণ্ডুর মুখ

চকিত স্বপনে দেখা দিয়েছে!

বাতাসে ব’য়ে গেছে অনেক ক’টা বছর

অক্লান্ত কলমের নিব শুধু হিজিবিজি কাটে,

অক্ষরের পসরা সাজায়!

এদিকে অনেক চেনা মুখ হারায়।
ফিরে তাকাইনি আমি

আমার সময় কোথায়?

আমি যে এখন কোন্ গহন-গভীরে!

ওখানে কবিতা আর আমি দোঁহে।

    ____________ "

বিতাটা ১৯৯৪-এ শারদীয়া মালঞ্চ-তে প্রকাশিত হয়েছিল।

Wednesday, November 18, 2009

শামুকের খোল (SHAMUKER KHOL)

"
পৃথিবীর বোঁটা ছিঁড়ে মহাশূন্যের দিকে

ওখানে সপ্তর্ষিমণ্ডল জিজ্ঞাসু চোখে,
অনিকেত হয়েও উত্তর খোঁজা বৃথা!

রাতের আঁধারে সময় গোনে ঘড়ি
অযথা স্বপ্নক্ষণ, প্রতি পদে বিপজ্জনক বাঁক!
হাতের প্রতিটি ক্ষুদ্রভাগ সন্ধিল হয়ে ওঠে
লুণ্ঠিত হয় সবকিছু -
ধন, মান, দেহ - যা কিছু বাহ্যিক!
জিজ্ঞাসা চিহ্নের ভ্রুকুটি মাথানাড়ে।
ব্যস্ত প্রশাসন - দায়িত্বের বোঝা ফাইলে ফাইলে
অন্তরাত্মা কাঁপে অধৈর্য্য শিখায়।
নিরাপত্তার কোনও প্রশ্ন তুলোনা!
চোখের সামনে গণতন্ত্র - তোমার গণতন্ত্র
ভুস্ করে লীন হয়ে যাবে!
বরং হত্যে না দিয়ে শামুকের খোল তৈরী করা ভাল
কিন্তু, ঠুনকো নয় - অভঙ্গুর!                                    
   _____________
                                      "
* এই কবিতাটা 'মালঞ্চ - বৈশাখ সংখ্যা - ১৯৯৭'-এ প্রকাশিত হয়েছিল।

Tuesday, November 17, 2009

কল্পনা (KALPANA)

       
"

হে সন্তাপহারী কল্পনা
হে মোর আনন্দ ঝর্ণা
     বন্ধু মোর তুমি
     রয়েছ হৃদয় চুমি'।

ঘনান্ধকার মনের পটে
   তুমি দীপ্ত শিখা
তোমার মাঝে পাই যে আমি
   ফল্গুধারার দেখা।

হারায়ে যখন সব
   আসি তোমার কাছে
জুড়ায়ে দাও সকল জ্বালা
   দুঃখ যত আছে।

ভুলিতে নারি কভু তোমায়
হৃদয়ের উষ্ণ ছোঁওয়ায়
     বন্ধ মনের আগল খোল
     যেন না কভু আমায় ভোল।।
     __________________  "


ই কবিতাটা অনেকটা  "Utopia" -র অনুসরণে লেখা।
কবিতাটা ১৯৯৮-এ মালঞ্চ-র শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।

Saturday, November 14, 2009

ক্ষণিক ছলনা (KSHANIK CHHALONA)

মি তখন কলেজে পড়ি। সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজ, কলকাতা। ১৯৯৪-এ কলেজ ম্যাগাজিন, 'পিয়াস'-এ প্রকাশিত হয়েছিল এই কবিতাটা।              


                 ।। ক্ষণিক ছলনা ।।


    (১)
শহরের পার্ক
গাছের ছায়া
মধুর বাতাস
আমরা দু'জন।

                                (২)
                          ছন্দভরা মন
                          পাখীর কুজন
                          অনন্ত হাসি
                           খুশীর গান।

                                                      (৩)
                                                 চিঠির বোঝা
                                                 আকুলিত হিয়া
                                                 সংগোপনে কথা
                                                 দৃঢ় প্রতিশ্রুতি।

                                (৪)
                           বিগত দিন 
                           স্মৃতির রেখা
                           মায়ার বাঁধন
                           শঙ্কিত হৃদয়।

      (৫)
ক্ষণিক ছলনা
তিক্ততার পরশ
দার্শনিক অনুভূতি
বাস্তব জগৎ।

Friday, November 13, 2009

যুদ্ধ? না শান্তি? (YUDDHA? NA SHANTI?)

যুদ্ধ? না শান্তি?
এটা কোন নতুন প্রশ্ন নয়। উত্তরটাও সবার জানা! "যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই"।আমরা ছোটবেলা থেকেই বহুবার শুনেছি, বইয়ে পড়েছি (পরীক্ষায় 'রচনা' লেখার একটা কমন প্রশ্ন ছিল এটা!), আবার পোস্টারেও দেখেছি।
সময়টা ঠিক মনে নেই। আমাদের এলাকার গুটিকয়েক 'সংস্কৃতিপ্রেমী'র উদ্যোগে চালু হয়েছিল এক দেওয়াল-পত্রিকা, 'অসেচনক'। তারই কোন এক সংখ্যার জন্য আমাকে লেখা দিতে বলল, বিষয় - "শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই"। আমি এই কবিতাটাই দিলাম, নাম সেই - "শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই"। লেখা বেরোনোর পরে অবশ্য অনেকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিল, এরকম লেখা তাদের 'অনভিপ্রেত'! যাহোক, পরবর্তীকালে কবিতাটা প্রকাশ পেল মালঞ্চ-তে। শারদীয়া সংখ্যা - ১৯৯৬ সন। এবার নাম -  'যুদ্ধ? না শান্তি?'। 

      ।। যুদ্ধ? না শান্তি? ।।


শান্তি? কোথায় শান্তি?
শান্তি কোথাও নেই।
জীবনের সেই আদিম লগ্নে
যুদ্ধের বীজ রক্তে গ্যাছে মিশে!
যুদ্ধে জিতে বেঁচে থাকা 
সেই তো জীবন;
সেই ডারউইনবাদ - সেই
'যোগ্যতমের উদ্বর্তন'!
শান্তি মানেই নিশ্চলতা, নিস্তরঙ্গ, অনড় -
বদ্ধ জলাশয় নয়, কাম্য নাব্য নদী।
যুদ্ধ আর অণুবোমা সমার্থক নয়,
নয় দ্বেষ, ঘৃণা, হানাহানি।
নয়া যুদ্ধ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে,
যুদ্ধ আনুক উদ্দামতা, চঞ্চলতা
আর প্রাণরসেরই জোয়ার।
আবার যুদ্ধ মানে হারিয়ে যাওয়াও
অসীম জীবনে!
    _________





Thursday, November 12, 2009

নীল স্বপ্ন (NEEL SWAPNO)

৯৯২-এর শারদীয়া সংখ্যা, 'মালঞ্চ'-তে এর প্রকাশ। লেখা যদিও অনেক আগেই হয়েছিল। আসলে আমি এখানে কোন সময়ক্রম অনুসরণ করিনি।

        ।। নীল স্বপ্ন ।।


পাষাণ-পাথরে গড়া গগনচুম্বী প্রাসাদ
দেখে মনে পড়ে সেই মাটি মাকে।
এখানে প্রকৃতির ছোঁওয়া টবের গাছে,
বনের পাখীর সুর - খাঁচার টিয়ার বিলাপে!
চিল ওড়ে আকাশে দুপুরের তপ্ত রোদে,
কিংবা গোধূলির আবীর রঙের প্রলেপ
মন, ক্ষণ মাতিয়ে যায়।
মনে পড়ে জলভরা দুটি চোখ
ঝড়ে পড়ে অশ্রুরাশি, বয়ে যায় নদী
সবুজ আঁচলে ছাওয়া সবুজ বসন একজনের।
অন্তরের গোপন কথা, গোপন ব্যাথা যত
মা'র কোলে মুখ গুঁজে - খুঁজে পাওয়া,
সে সাধ পূরবে কবে আবার?
সে আর কতদূরে?
    __________



Utopia (ইউটোপিয়া)

ই কবিতাটা প্রকাশিত হয়েছিল "The Asian Age"-এ ১৯৯৬ এর ১২ই নভেম্বর।


||  Utopia  ||

Oh! The Utopia

My fountain of joy,

And friend of my heart too

You're only mine.

Deep darkness around me

But I'm on the glorious path,

I'm parted from the world

And you're the last companion

Of my life,

And the last capital.

I can never forget you

But only feel your warm existence;

Please, do forget me not!

_________________

Wednesday, November 11, 2009

কামনা (KAMONA)

ই লেখাটা ছাপা হয়েছিল স্কুল-ম্যাগাজিন, অঙ্কুর-এ। 
আমার বাবার প্রেরণাই এর উৎস।


    ।। কামনা ।।


হে মাতঃ বঙ্গ
দাও তব সুধাভান্ড
পান করি তিষ্ঠি ক্ষণকাল
তোমার ক্রোড়েতে রাখি শির,
   জুড়াক সকল জ্বালা
   সব দুঃখ যাই ভুলি -
মাতৃস্নেহে কর মোরে
   অবসাদ ধীর।
    _______

Tuesday, November 10, 2009

ক্ষুদ্র ও বৃহৎ (KSHUDRA O BRIHAT)

ই কবিতাটা কোলকাতার "সোনার তরী" (বিবেক সংখ্যা, ১৯৯০) -তে প্রকাশিত হয়েছিল। 
সোনার তরী-র সম্পাদক ছিলেন শ্রীরাম মহাশয়।



      ।। ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ।।

বিস্তীর্ণ সাগরের অতল জলরাশি।
তারি এককণা আমি - নই ত্রাসী।।
সতত শতশত কণা মিলে শেষে।
পূর্ণ পরিণত হয় উত্তাল যৌবন রসে।।
ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই, গড়ি সাগর।
বৃহতের জন্মদাতা এই গর্ব মোর।।
                _____________

Monday, November 09, 2009

রবীন্দ্র স্মরণে (RABINDRA SMARONE)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মার এই কবিতা লেখার পিছনে প্রেরণা ছিলেন আমাদের স্কুলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত কমল গোস্বামী মহাশয়। 

পরবর্তীকালে এই কবিতার অংশবিশেষ * "মালঞ্চ" ('রবীন্দ্র-স্মরণ সংখ্যা - ইং ১৯৯০ সন')-তে প্রকাশিত হয়েছিল।


 * মালঞ্চ - সম্পাদক শ্রী জিতু গুপ্ত মহাশয়। ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা থেকে প্রকাশিত।

  ।। রবীন্দ্র স্মরণে ।।


হে কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথ
     তুমি বিশ্বে নমস্য সবার।
চারিদিকে শোনা যায়
     শুধু তব জয়জয়কার।।
মহর্ষির ধ্যানরূপ তুমি
     কায়া ধরি নামিলে ধরায়।
সৃজিলে অমর অক্ষয় বট
     তুমি এই জগৎ সভায়।।
এ বাংলার নরনারী ধন্য
     হল তব কাব্য আস্বাদনে।
সুধারসমাখা কুসুম ডালা
     রচিলে যে অতি সযতনে।।
রচিয়া কাব্য-কুসুম-কুঞ্জ
     বঙ্গ-বাণীরে করিলে দান।
বীণায় বাঁধিলে সাতটি সুর
     আকুল করিলে নিখিল প্রাণ।।
তব কাব্য সঙ্গীত সে যে
     এই বাঙালীর গরিমা।
জাতির অতীত গৌরব-গাঁথা
     প্রকাশিছে তব মহিমা।।
একদিন তুমি কাটিয়েছিলে
     সর্ব-বৈর দণ্ড ভয়।
উচ্চকণ্ঠে গাহি মোরা আজ
     তোমারি হউক জয়।।
                ___________

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর. (২০০৯, ডিসেম্বর ১০). উইকিপিডিয়া, উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া থেকে. Retrieved ০৯:৪১, ডিসেম্বর ২৩, ২০০৯ from http://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0&oldid=544094.

আমার প্রথম পোষ্ট (MY FIRST POST)

স্বাগতম
বিভিন্ন সময়ে আমি কিছু লেখা লিখেছি। তাদের মধ্যে কিছু প্রকাশিত হয়েছে, কিছু বা রয়েছে অপ্রকাশিত। যাহোক, সেসব লেখা থেকে কিছু, আর যা নতুন কিছু  লিখি - এই মিলিয়েই "বিচিত্রা"।


আমার এই লেখালিখির পিছনে আমার পিতা (স্বর্গীয় সৃষ্টি ভট্টাচার্য)-র অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়াও, নানাসময়ে আমাকে অনেকে অনেকভাবে প্রেরণা যুগিয়েছেন, সাহায্যও করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।   


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে আমার এই 'বিচিত্রা'-র পথচলা............

       ...রাজেন্দ্র ভট্টাচার্য