কত কথা বলার ছিল
হাতে কাগজ উঠেছিল,
কিন্তু শুধুই হিজিবিজি কাটা
অক্ষর, স্তবক কিছুই হল না।
কত কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই জেনেও
সারা পথে খোঁজ করে গেছি তার,
এ যেন কোন এক ঘোরে পড়ে
মায়ামৃগের পেছনে ছোটা!
সবাই তো ঝেড়ে ফেলে
মান-অভিমান, হতাশা-বেদনা
ঠিক সী-বীচে গড়াগড়ি খেয়ে
বালি ঝেড়ে ফেলার মতন!
কিন্তু চট্চটে এঁটেল মাটির মতন
ওদের কিছুতেই আমি ফেলতে পারিনি,
যেন খুব ভারী বোঝা হয়ে গেছি
নদীর নিম্নগতির মতন!
তবুতো মোহনাতে নদীর পরিণতি
উচ্ছল খরস্রোতের শেষে, কিন্তু আমি তো
সবে মধ্যপথে দাঁড় বাইছি
মোহনা সেই কোন্ সুদূরে।
যাক্ দুঃখ করিনা কোন
দোষ দেওয়ার পক্ষপাতী নই
তাই একাই ভেলা ভাসাই আমি!
_________________
* নয়ালাপ, ডিসেম্বর - ১৯৯৩
Sunday, February 14, 2010
Sunday, February 07, 2010
আহ্বান (AOHAN)
সূর্য ওঠার আগে
সবার জাগার আগে
বেড়িয়ে পড়্ রে ভাই
মোদের শঙ্কা কোন নাই
এগিয়ে চল্ রে ভাই।
চলব মোরা সকল বাঁধন টুটে
দুর্জয়-পদে মোদের লক্ষ্যে ছুটে
খরস্রোতা নদীর মত মোরা
পড়ব উপল ফেটে
পিছিয়ে পড়া নাই
এগিয়ে চল্ রে ভাই।
মোরা ছুটব সেদিক পানে
প্রবল পদে ভীমগর্জনে
যেথা অত্যাচারীর অত্যাচার
ভুবন করে ছারখার
সেথায় মোরা নিঠুর হাতে
অত্যাচারীর খড়গ টুটে
এগিয়ে চলব ভাই
মোদের নিশীথ স্বপন তাই
সফল হবে হবেই ভাই।
__________________
* নয়ালাপ, ২৩শে জানুয়ারী, ১৯৯৪।
সবার জাগার আগে
বেড়িয়ে পড়্ রে ভাই
মোদের শঙ্কা কোন নাই
এগিয়ে চল্ রে ভাই।
চলব মোরা সকল বাঁধন টুটে
দুর্জয়-পদে মোদের লক্ষ্যে ছুটে
খরস্রোতা নদীর মত মোরা
পড়ব উপল ফেটে
পিছিয়ে পড়া নাই
এগিয়ে চল্ রে ভাই।
মোরা ছুটব সেদিক পানে
প্রবল পদে ভীমগর্জনে
যেথা অত্যাচারীর অত্যাচার
ভুবন করে ছারখার
সেথায় মোরা নিঠুর হাতে
অত্যাচারীর খড়গ টুটে
এগিয়ে চলব ভাই
মোদের নিশীথ স্বপন তাই
সফল হবে হবেই ভাই।
__________________
* নয়ালাপ, ২৩শে জানুয়ারী, ১৯৯৪।
Thursday, February 04, 2010
গোঁজামিল [GNOJAMIL]
আমি এক বড় কবি।
মিল দিয়ে আঁকি ছবি।।
এটা ‘পেন-পিক্চার’।
রোগী খায় মিক্সচার।।
লেপমুড়ি দেয় কালু।
ক্ষেতে ওঠে রাঙা আলু।।
আকাশের গায়ে শীত।
শিলনোড়া গায় গীত।।
খেতে মিঠে নিমফল।
পেলে খেলে ফুটবল।।
আলো দেয় লন্ঠন।
জোরে হাঁটা হন্টন।।
দেখ আমি দিই মিল।
আসলেতে গোঁজামিল।।________
* নয়ালাপ, ফেব্রুয়ারী-১৯৯৫।।
Labels:
LITERATURE,
Rhyme,
অপ্রকাশিত,
ছড়া
Subscribe to:
Posts (Atom)