Saturday, September 11, 2010

ইচ্ছামতীঃ ছোটদের একটা বাংলা ওয়েব ম্যাগাজিন

ইচ্ছামতী - ছোটদের জন্য একটা বাংলা ওয়েব ম্যাগাজিন। একটা ছড়া পাঠিয়েছিলাম ইচ্ছামতীর দপ্তরে। ছড়াটা প্রকাশ পেয়েছিল ইচ্ছামতীর এই ২০১০ এর গ্রীষ্ম সংখ্যায়। ছড়াটা পড়া যাবে এখানে - "হরেক ডাক"

Sunday, February 14, 2010

কত কথা বলার ছিল (KATO KATHA BOLAR CHILO)

কত কথা বলার ছিল
হাতে কাগজ উঠেছিল,
কিন্তু শুধুই  হিজিবিজি কাটা
অক্ষর, স্তবক কিছুই হল না।


কত কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই জেনেও
সারা পথে খোঁজ করে গেছি তার,
এ যেন কোন এক ঘোরে পড়ে
মায়ামৃগের পেছনে ছোটা!


সবাই তো ঝেড়ে ফেলে
মান-অভিমান, হতাশা-বেদনা
ঠিক সী-বীচে গড়াগড়ি খেয়ে
বালি ঝেড়ে ফেলার মতন!
কিন্তু চট্‌চটে এঁটেল মাটির মতন
ওদের কিছুতেই আমি ফেলতে পারিনি,
যেন খুব ভারী বোঝা হয়ে গেছি
নদীর নিম্নগতির মতন!


তবুতো মোহনাতে নদীর পরিণতি
উচ্ছল খরস্রোতের শেষে, কিন্তু আমি তো
সবে মধ্যপথে দাঁড় বাইছি
মোহনা সেই কোন্‌  সুদূরে।


যাক্‌ দুঃখ করিনা কোন
দোষ দেওয়ার পক্ষপাতী নই
তাই একাই ভেলা ভাসাই আমি!
_________________

* নয়ালাপ, ডিসেম্বর - ১৯৯৩

Sunday, February 07, 2010

আহ্বান (AOHAN)

সূর্য ওঠার আগে
সবার জাগার আগে
বেড়িয়ে পড়্‌ রে ভাই
মোদের শঙ্কা কোন নাই
এগিয়ে চল্‌ রে ভাই।


চলব মোরা সকল বাঁধন টুটে
দুর্জয়-পদে মোদের লক্ষ্যে ছুটে
খরস্রোতা নদীর মত মোরা
পড়ব উপল ফেটে
পিছিয়ে পড়া নাই
এগিয়ে চল্‌ রে ভাই।


মোরা ছুটব সেদিক পানে
প্রবল পদে ভীমগর্জনে
যেথা অত্যাচারীর অত্যাচার
ভুবন করে ছারখার


সেথায় মোরা নিঠুর হাতে
অত্যাচারীর খড়গ টুটে
এগিয়ে চলব ভাই
মোদের নিশীথ স্বপন তাই
সফল হবে হবেই ভাই।
__________________

* নয়ালাপ, ২৩শে জানুয়ারী, ১৯৯৪।

Thursday, February 04, 2010

গোঁজামিল [GNOJAMIL]


আমি এক বড় কবি।
মিল দিয়ে আঁকি ছবি।।
এটা পেন-পিক্‌চার
রোগী খায় মিক্সচার।।
লেপমুড়ি দেয় কালু।
ক্ষেতে ওঠে রাঙা আলু।।
আকাশের গায়ে শীত।
শিলনোড়া গায় গীত।।
খেতে মিঠে নিমফল।
পেলে খেলে ফুটবল।।
আলো দেয় লন্ঠন।
জোরে হাঁটা হন্টন।।
দেখ আমি দিই মিল।
আসলেতে গোঁজামিল।।
________ 

* নয়ালাপ, ফেব্রুয়ারী-১৯৯৫।।

Friday, January 22, 2010

টুকরো পদ্য- [১-৩] (TUKRO PADYA- [1-3])

              (১) 

              সুর

বেদনা কান্না আনে
আনন্দও জন্ম দেয় অশ্রুর।
গভীর বেদনা, নিথর আনন্দ
কখনো মূক হয়ে যায়।
প্রকাশের ভাষা লীন হয়ে গেলে
তা জেগে ওঠে সুরের ছোঁওয়ায়।

সুর তো শুধুই চাপ চাপ জমা কান্না
কিংবা গলে যাওয়া আনন্দরাশি !
            ______________




                           (২)


                       কবিতা


আখর থেকে কথা
কথাগুলো দলা পাকিয়ে
এক অশরীরী কায়া
সব শুধু মায়াময়, মোহময়
শূন্যে জটিলতা !


ভাষার কোন্‌  গভীর  অতল থেকে
বুদ্‌বুদ্‌ জাগে -
ট্যাঁ-শিশু জন্ম নেয় কবিতা ।
       __________________

              (৩)
        প্রতিদান


বন্ধু ভেবে ভালবেসে
দিয়ে গেল যে ম্লান হেসে
              অযাচিত দান।
তারেই তুমি করলে শেষে
অজ্ঞাতেরই ছদ্মবেশে
             বহু অপমান ।।
     ____________




Wednesday, January 20, 2010

অন্ধকার নেমে এলে (ANDHAKAR NEME ELE)

অন্ধকার নেমে এলে পরে
দিগন্তে তবুও প্রাণের সাড়া,
চাঁদ-জ্যোৎস্না ক্লান্তি দেয় ধুয়ে
নেমে আসে প্রগাঢ় শান্তি।
বুড়ো বাবলাগাছের কোলে শুয়ে
হা হা ক্ষেত, দূর থেকে
আল দেয় হাতছানি।
অমল জ্যোৎস্নামাখা কাজল কালো চোখে
কী ছিল ইশারা কি জানি !
দুটো রঙীন পাখি উড়ে যায় মেঠো সুরে - 
সা - রে - গা - মা - পা - ধা - নি ... ...
ধূপছায়া রঙ আঁচলের শাড়ি
কোন এক নাম না জানা সুগন্ধ
বিবশ তনুমন, - সচকিত চাহনি
সব কিছু জড়িয়ে থাকে শুধু
মায়াময় প্রান্তর - মায়াময় হাসি !
 _____________________

Sunday, January 17, 2010

টাপুর-টুপুর বৃষ্টি ঝরে (TAPUR TUPUR BRISHTI JHORE)

টাপুর-টুপুর বৃষ্টি ঝরে -
ছাতের 'পরে।

জলের বুকে কাঁপন ধরায়
গাছের পাতায় পরশ জাগায়
এমন ছবি নাইতো হেথা,
এযে শহর কোলকাতা !

হেথা নাইতো কোন সোঁদামাটির  ঘ্রাণ
আনন্দেতে গেয়ে ওঠা ছোট্ট পাখির গান।
জানলা দিয়ে দেখি – বৃষ্টি ঝরে,
দূরে-কাছে – সকল ছাতের 'পরে !

উতলা মন ঘোচাতে চায় বদ্ধ খাঁচার বাধা,
এ শহর এক মস্ত গোলকধাঁধা।

হরেক রকম কাজের পাকে বাঁধে,
ছাড়াতে না’রে – এ পরাণ তাই কাঁদে।
মনই তখন চলে উড়ে -
দু-রে  ব-হু-দূ-রে !

যেথায় মনে হরষ জাগে -
যেথার বায়ু পরাণ মাগে,
সেথাই আমি চলব ছুটে
সকল পথের বাঁধন টুটে।
  ________________