এই কবিতাটা প্রকাশিত হয়েছিল মালঞ্চ-তে, ১৯৯৫-এর বৈশাখ সংখ্যায়।
।। বনলতা সেন ।।
আজ চেয়ে দ্যাখে চোখ
তপ্ত বারুদ জ্বালে আগুন।
আগমনী স্বাদ চাখে নতুন বছর
শীতের ধোঁয়াশায় বিলীন প্রেম,
এ প্রেম-ভাষা বলে নতুন কথা
ফিরে ঘিরে ধরে হতাশার ভাষা !
আজ ফিরুক জীবনানন্দ
তাঁর প্রেমাতুর চোখে
রূপসার ঘোলা জল খুঁজে ফিরে
কিশোর কিশোরীর ধূলা ওড়া পথে।
আজ অর্ধশতাব্দী পরে
চেয়ে দ্যাখে চোখ - মনে মনে ভাবে
বুঝিবা রচিত হয় যেন
এক নব - 'বনলতা সেন'!
____________
Sunday, November 29, 2009
Tuesday, November 24, 2009
আমি আর কবিতা (AMI AAR KOBITA)
"
কবিতা আমাকে টেনে নিয়ে গেছে গহন-গভীরে
গোলকধাঁধা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারিনি,
জ্বরের ঘোরের বিষন্ন পাণ্ডুর মুখ
বাতাসে ব’য়ে গেছে অনেক ক’টা বছর
অক্লান্ত কলমের নিব শুধু হিজিবিজি কাটে,
অক্ষরের পসরা সাজায়!
এদিকে অনেক চেনা মুখ হারায়।
ফিরে তাকাইনি আমি
আমার সময় কোথায়?
আমি যে এখন কোন্ গহন-গভীরে!
ওখানে কবিতা আর আমি দোঁহে।
____________ "কবিতাটা ১৯৯৪-এ শারদীয়া মালঞ্চ-তে প্রকাশিত হয়েছিল।
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
মালঞ্চ
Wednesday, November 18, 2009
শামুকের খোল (SHAMUKER KHOL)
"
পৃথিবীর বোঁটা ছিঁড়ে মহাশূন্যের দিকেওখানে সপ্তর্ষিমণ্ডল জিজ্ঞাসু চোখে,
অনিকেত হয়েও উত্তর খোঁজা বৃথা!
রাতের আঁধারে সময় গোনে ঘড়ি
অযথা স্বপ্নক্ষণ, প্রতি পদে বিপজ্জনক বাঁক!
হাতের প্রতিটি ক্ষুদ্রভাগ সন্ধিল হয়ে ওঠে
লুণ্ঠিত হয় সবকিছু -
ধন, মান, দেহ - যা কিছু বাহ্যিক!
জিজ্ঞাসা চিহ্নের ভ্রুকুটি মাথানাড়ে।
ব্যস্ত প্রশাসন - দায়িত্বের বোঝা ফাইলে ফাইলে
অন্তরাত্মা কাঁপে অধৈর্য্য শিখায়।
নিরাপত্তার কোনও প্রশ্ন তুলোনা!
চোখের সামনে গণতন্ত্র - তোমার গণতন্ত্র
ভুস্ করে লীন হয়ে যাবে!
বরং হত্যে না দিয়ে শামুকের খোল তৈরী করা ভাল
কিন্তু, ঠুনকো নয় - অভঙ্গুর!
_____________
"
* এই কবিতাটা 'মালঞ্চ - বৈশাখ সংখ্যা - ১৯৯৭'-এ প্রকাশিত হয়েছিল।
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
মালঞ্চ
Tuesday, November 17, 2009
কল্পনা (KALPANA)
"
হে সন্তাপহারী কল্পনা
হে মোর আনন্দ ঝর্ণা
বন্ধু মোর তুমি
রয়েছ হৃদয় চুমি'।
ঘনান্ধকার মনের পটে
তুমি দীপ্ত শিখা
তোমার মাঝে পাই যে আমি
ফল্গুধারার দেখা।
হারায়ে যখন সব
আসি তোমার কাছে
জুড়ায়ে দাও সকল জ্বালা
দুঃখ যত আছে।
ভুলিতে নারি কভু তোমায়
হৃদয়ের উষ্ণ ছোঁওয়ায়
বন্ধ মনের আগল খোল
যেন না কভু আমায় ভোল।।
__________________ "
__________________ "
এই কবিতাটা অনেকটা "Utopia" -র অনুসরণে লেখা।
কবিতাটা ১৯৯৮-এ মালঞ্চ-র শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
কবিতাটা ১৯৯৮-এ মালঞ্চ-র শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
মালঞ্চ
Saturday, November 14, 2009
ক্ষণিক ছলনা (KSHANIK CHHALONA)
আমি তখন কলেজে পড়ি। সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজ, কলকাতা। ১৯৯৪-এ কলেজ ম্যাগাজিন, 'পিয়াস'-এ প্রকাশিত হয়েছিল এই কবিতাটা।
।। ক্ষণিক ছলনা ।।
(১)
শহরের পার্ক
গাছের ছায়া
মধুর বাতাস
আমরা দু'জন।
(২)
ছন্দভরা মন
পাখীর কুজন
অনন্ত হাসি
খুশীর গান।
(৩)
চিঠির বোঝা
আকুলিত হিয়া
সংগোপনে কথা
দৃঢ় প্রতিশ্রুতি।
(৪)
বিগত দিন
স্মৃতির রেখা
মায়ার বাঁধন
শঙ্কিত হৃদয়।
(৫)
ক্ষণিক ছলনা
তিক্ততার পরশ
দার্শনিক অনুভূতি
বাস্তব জগৎ।
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
পিয়াস
Friday, November 13, 2009
যুদ্ধ? না শান্তি? (YUDDHA? NA SHANTI?)
যুদ্ধ? না শান্তি?
।। যুদ্ধ? না শান্তি? ।।
শান্তি? কোথায় শান্তি?
শান্তি কোথাও নেই।
জীবনের সেই আদিম লগ্নে
যুদ্ধের বীজ রক্তে গ্যাছে মিশে!
যুদ্ধে জিতে বেঁচে থাকা
সেই তো জীবন;
সেই ডারউইনবাদ - সেই
'যোগ্যতমের উদ্বর্তন'!
শান্তি মানেই নিশ্চলতা, নিস্তরঙ্গ, অনড় -
বদ্ধ জলাশয় নয়, কাম্য নাব্য নদী।
যুদ্ধ আর অণুবোমা সমার্থক নয়,
নয় দ্বেষ, ঘৃণা, হানাহানি।
নয়া যুদ্ধ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে,
যুদ্ধ আনুক উদ্দামতা, চঞ্চলতা
আর প্রাণরসেরই জোয়ার।
আবার যুদ্ধ মানে হারিয়ে যাওয়াও
অসীম জীবনে!
_________
এটা কোন নতুন প্রশ্ন নয়। উত্তরটাও সবার জানা! "যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই"।আমরা ছোটবেলা থেকেই বহুবার শুনেছি, বইয়ে পড়েছি (পরীক্ষায় 'রচনা' লেখার একটা কমন প্রশ্ন ছিল এটা!), আবার পোস্টারেও দেখেছি।
সময়টা ঠিক মনে নেই। আমাদের এলাকার গুটিকয়েক 'সংস্কৃতিপ্রেমী'র উদ্যোগে চালু হয়েছিল এক দেওয়াল-পত্রিকা, 'অসেচনক'। তারই কোন এক সংখ্যার জন্য আমাকে লেখা দিতে বলল, বিষয় - "শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই"। আমি এই কবিতাটাই দিলাম, নাম সেই - "শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই"। লেখা বেরোনোর পরে অবশ্য অনেকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিল, এরকম লেখা তাদের 'অনভিপ্রেত'! যাহোক, পরবর্তীকালে কবিতাটা প্রকাশ পেল মালঞ্চ-তে। শারদীয়া সংখ্যা - ১৯৯৬ সন। এবার নাম - 'যুদ্ধ? না শান্তি?'।
।। যুদ্ধ? না শান্তি? ।।
শান্তি? কোথায় শান্তি?
শান্তি কোথাও নেই।
জীবনের সেই আদিম লগ্নে
যুদ্ধের বীজ রক্তে গ্যাছে মিশে!
যুদ্ধে জিতে বেঁচে থাকা
সেই তো জীবন;
সেই ডারউইনবাদ - সেই
'যোগ্যতমের উদ্বর্তন'!
শান্তি মানেই নিশ্চলতা, নিস্তরঙ্গ, অনড় -
বদ্ধ জলাশয় নয়, কাম্য নাব্য নদী।
যুদ্ধ আর অণুবোমা সমার্থক নয়,
নয় দ্বেষ, ঘৃণা, হানাহানি।
নয়া যুদ্ধ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে,
যুদ্ধ আনুক উদ্দামতা, চঞ্চলতা
আর প্রাণরসেরই জোয়ার।
আবার যুদ্ধ মানে হারিয়ে যাওয়াও
অসীম জীবনে!
_________
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
মালঞ্চ
Thursday, November 12, 2009
নীল স্বপ্ন (NEEL SWAPNO)
১৯৯২-এর শারদীয়া সংখ্যা, 'মালঞ্চ'-তে এর প্রকাশ। লেখা যদিও অনেক আগেই হয়েছিল। আসলে আমি এখানে কোন সময়ক্রম অনুসরণ করিনি।
।। নীল স্বপ্ন ।।
পাষাণ-পাথরে গড়া গগনচুম্বী প্রাসাদ
দেখে মনে পড়ে সেই মাটি মাকে।
এখানে প্রকৃতির ছোঁওয়া টবের গাছে,
বনের পাখীর সুর - খাঁচার টিয়ার বিলাপে!
চিল ওড়ে আকাশে দুপুরের তপ্ত রোদে,
কিংবা গোধূলির আবীর রঙের প্রলেপ
মন, ক্ষণ মাতিয়ে যায়।
মনে পড়ে জলভরা দুটি চোখ
ঝড়ে পড়ে অশ্রুরাশি, বয়ে যায় নদী
সবুজ আঁচলে ছাওয়া সবুজ বসন একজনের।
অন্তরের গোপন কথা, গোপন ব্যাথা যত
মা'র কোলে মুখ গুঁজে - খুঁজে পাওয়া,
সে সাধ পূরবে কবে আবার?
সে আর কতদূরে?
__________
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
মালঞ্চ
Utopia (ইউটোপিয়া)
এই কবিতাটা প্রকাশিত হয়েছিল "The Asian Age"-এ ১৯৯৬ এর ১২ই নভেম্বর।
|| Utopia ||
Oh! The Utopia
My fountain of joy,
And friend of my heart too
You're only mine.
Deep darkness around me
But I'm on the glorious path,
I'm parted from the world
And you're the last companion
Of my life,
And the last capital.
I can never forget you
But only feel your warm existence;
Please, do forget me not!
_________________
Labels:
ENGLISH,
LITERATURE,
POETRY,
The Asian Age
Wednesday, November 11, 2009
কামনা (KAMONA)
এই লেখাটা ছাপা হয়েছিল স্কুল-ম্যাগাজিন, অঙ্কুর-এ।
আমার বাবার প্রেরণাই এর উৎস।
আমার বাবার প্রেরণাই এর উৎস।
।। কামনা ।।
হে মাতঃ বঙ্গ
দাও তব সুধাভান্ড
পান করি তিষ্ঠি ক্ষণকাল
তোমার ক্রোড়েতে রাখি শির,
জুড়াক সকল জ্বালা
সব দুঃখ যাই ভুলি -
মাতৃস্নেহে কর মোরে
অবসাদ ধীর।
_______
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
অঙ্কুর,
কবিতা
Tuesday, November 10, 2009
ক্ষুদ্র ও বৃহৎ (KSHUDRA O BRIHAT)
এই কবিতাটা কোলকাতার "সোনার তরী" (বিবেক সংখ্যা, ১৯৯০) -তে প্রকাশিত হয়েছিল।
সোনার তরী-র সম্পাদক ছিলেন শ্রীরাম মহাশয়।
সোনার তরী-র সম্পাদক ছিলেন শ্রীরাম মহাশয়।
।। ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ।।
বিস্তীর্ণ সাগরের অতল জলরাশি।
তারি এককণা আমি - নই ত্রাসী।।
সতত শতশত কণা মিলে শেষে।
পূর্ণ পরিণত হয় উত্তাল যৌবন রসে।।
ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই, গড়ি সাগর।
বৃহতের জন্মদাতা এই গর্ব মোর।।
_____________
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
সোনার তরী
Monday, November 09, 2009
রবীন্দ্র স্মরণে (RABINDRA SMARONE)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
পরবর্তীকালে এই কবিতার অংশবিশেষ * "মালঞ্চ" ('রবীন্দ্র-স্মরণ সংখ্যা - ইং ১৯৯০ সন')-তে প্রকাশিত হয়েছিল।
* মালঞ্চ - সম্পাদক শ্রী জিতু গুপ্ত মহাশয়। ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা থেকে প্রকাশিত।
।। রবীন্দ্র স্মরণে ।।
হে কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথ
তুমি বিশ্বে নমস্য সবার।
চারিদিকে শোনা যায়
শুধু তব জয়জয়কার।।
মহর্ষির ধ্যানরূপ তুমি
কায়া ধরি নামিলে ধরায়।
সৃজিলে অমর অক্ষয় বট
তুমি এই জগৎ সভায়।।
এ বাংলার নরনারী ধন্য
হল তব কাব্য আস্বাদনে।
সুধারসমাখা কুসুম ডালা
রচিলে যে অতি সযতনে।।
রচিয়া কাব্য-কুসুম-কুঞ্জ
বঙ্গ-বাণীরে করিলে দান।
বীণায় বাঁধিলে সাতটি সুর
আকুল করিলে নিখিল প্রাণ।।
তব কাব্য সঙ্গীত সে যে
এই বাঙালীর গরিমা।
জাতির অতীত গৌরব-গাঁথা
প্রকাশিছে তব মহিমা।।
একদিন তুমি কাটিয়েছিলে
সর্ব-বৈর দণ্ড ভয়।
উচ্চকণ্ঠে গাহি মোরা আজ
তোমারি হউক জয়।।
___________
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর. (২০০৯, ডিসেম্বর ১০). উইকিপিডিয়া, উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া থেকে. Retrieved ০৯:৪১, ডিসেম্বর ২৩, ২০০৯ from http://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0&oldid=544094.
Labels:
LITERATURE,
POETRY,
কবিতা,
মালঞ্চ
আমার প্রথম পোষ্ট (MY FIRST POST)
আমার এই লেখালিখির পিছনে আমার পিতা (স্বর্গীয় সৃষ্টি ভট্টাচার্য)-র অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়াও, নানাসময়ে আমাকে অনেকে অনেকভাবে প্রেরণা যুগিয়েছেন, সাহায্যও করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে আমার এই 'বিচিত্রা'-র পথচলা............
Subscribe to:
Posts (Atom)